জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই অভিযোগে যশোর-৫ আসনের সাবেক এমপি এবং সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের ছেলে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক এমপি মেহের আফরোজ চুমকি ও তার স্বামী বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড লুব্রিকেন্টসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধেও মামলা করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শেখ হেলাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী শেখ রুপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুদকের সমম্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলা দুটি দায়ের করেন যথাক্রমে সংস্থাটির উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।
প্রথম মামলায় শেখ হেলালের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাতটি ব্যাংক হিসাবে মোট ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় শেখ রুপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার স্বামী শেখ হেলাল উদ্দিনের সহায়তায় নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মানিলন্ডারিং আইনে ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে ৬৩ লাখ টাকার বেশি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম বাদী হয়ে সংস্থাটির সমম্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর ২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জনের অভিযোগে স্বপন ভট্টাচার্য্যের নামে মামলা করে দুদক।
অপরদিকে, গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি ও তার স্বামী মুহাম্মদ মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় নিজ নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২১ জানুয়ারি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি মেহের আফরোজ চুমকির নামে মামলা করে দুদক।
আমার দেশ