বাগেরহাটের রামপালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাত জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও দুই জনকে স্থানীয় ঝনঝনিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা রামপালের ভাগা ও রনসেন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি শহিদুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্বজনরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিন ও সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব কাজী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনের কাজ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রামপাল উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নে বিএনপির কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। এতে দলের প্রকৃত ত্যাগীরাই নির্বাচিত হয়েছেন। আর এ কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন রামপাল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান তুহিনের লোকজন। কারণ বিগত ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকার আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে নিয়ে মহড়া ও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তুহিন। তার আওয়ামী প্রীতির কারণেই দলের প্রকৃত লোকজন তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠনে ছিটকে পড়েন তারই লোকজন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তার নেতৃত্বে বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলামসহ তার লোকজনকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি ও হয়রানি করে আসছিলেন।